অনলাইন ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ৭১তম জন্মদিন আজ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিবের জ্যেষ্ঠ সন্তান শেখ হাসিনা ১৯৪৭ সালের এই দিনে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। যুক্তরাষ্ট্রের রাজধানী ওয়াশিংটনে ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বাসায় তিনি এবারের জন্মদিন অনাড়ম্বরভাবে উদযাপন করবেন।
এবার এক ভিন্ন প্রেক্ষাপটে প্রধানমন্ত্রীর জন্মদিন পালন হচ্ছে। নির্যাতিত-অত্যাচারিত হয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগারিকদের দুর্দশার কথা চিন্তা করে কোনো ধরনের বড় আয়োজন ছাড়াই দিনটি পালন করা হবে।
তবে দলের সভাপতির জন্মদিনে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে বাদ জোহর জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সকাল ১০টায় আন্তর্জাতিক বৌদ্ধ বিহার মেরুল বাড্ডা ও সকাল সাড়ে ১০টায় খ্রিস্টান অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ (সিএবি) ওয়াইএমসিএ চ্যাপেল, ২৯ সেনপাড়া, মিরপুর-১০ এবং সুবিধাজনক সময়ে ঢাকেশ্বরী মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনা অনুষ্ঠিত হবে।
রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান হিসেবে ছাত্রজীবন থেকে প্রত্যক্ষভাবে রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত হন তিনি। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলা সাহিত্যে গ্র্যাজুয়েট ডিগ্রি লাভকারী শেখ হাসিনা তৎকালীন ছাত্রলীগের অন্যতম নেত্রী ছিলেন।
১৯৭৫ সালের পটপরিবর্তনের পর ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে আওয়ামী লীগের দুঃসময়ে দলীয় প্রধানের দায়িত্ব নেন তিনি। এরপর থেকে ৩৪ বছর ধরে নিজ রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও আপসহীন নেতৃত্বের মধ্য দিয়ে দেশের অসাম্প্রদায়িক-গণতান্ত্রিক রাজনীতির মূল স্রোতধারার প্রধান নেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।
তার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এবং অন্য রাজনৈতিক জোট ও দলগুলো ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারবিরোধী গণআন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে বিজয়ী হয়।